Nuclear Risk || মধ্যপ্রাচ্যে মহাযুদ্ধের আশঙ্কা? ইরান-ইসরায়েল-আমেরিকা সংঘাতের নতুন মোড় || itall24

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের সর্বশেষ অবস্থা:

যুদ্ধ সপ্তম দিনে গড়িয়েছে: ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ সপ্তম দিনে গড়িয়েছে। উভয় পক্ষই একে অপরের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে।


ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইরান ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে ইরান প্রায় ৪০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং শত শত ড্রোন ছুড়েছে। এর মধ্যে আট থেকে নয়টি ইসরায়েলিরা আটকে দিয়েছে। কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনা, গোয়েন্দা সদর দপ্তর এবং সামরিক গোয়েন্দা শাখার ক্যাম্পে আঘাত হেনেছে। এমনকি, ইসরায়েলের সোরোকা হাসপাতালেও ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার খবর পাওয়া গেছে।


ইসরায়েলের পাল্টা হামলা: ইসরায়েলও ইরানে হামলা অব্যাহত রেখেছে। তারা তেহরানসহ ৪০টি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের দাবি, তারা ইরানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সদর দপ্তর ধ্বংস করে দিয়েছে এবং তিন দিনে ইরানের ৭২০টির মতো সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করেছে।


হতাহতের সংখ্যা: ইসরায়েলের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে ২৪ জন নিহতের খবর দেওয়া হয়েছিল, তবে এর পর থেকে হালনাগাদ তথ্য নেই। ওয়াশিংটনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্টস জানিয়েছে, ইরানে প্রায় ৬০০ মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। ইরানের দেওয়া সর্বশেষ হিসাবে নিহতের সংখ্যা দুই শতাধিক।


পারমাণবিক স্থাপনা: ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক শক্তি ধ্বংস করার লক্ষ্য ঘোষণা করলেও, ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনাটি মাটির এত গভীরে যে সেটি ধ্বংসের সক্ষমতা ইসরায়েলের নেই। এই সক্ষমতা কেবল আমেরিকারই আছে।


আমেরিকার ভূমিকা:যুদ্ধ প্রস্তুতি: যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক শক্তি জড়ো করতে শুরু করেছে। এফ-১৬, এফ-২২ এবং এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন ঘাঁটিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। ওমান উপসাগর ও পারস্য উপসাগরে আরও কিছু যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন রয়েছে, যেগুলো ইতোমধ্যে ইসরায়েলকে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে সহায়তা করেছে।


ট্রাম্পের অনুমোদন: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য মার্কিন হামলার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন, তবে চূড়ান্ত নির্দেশ এখনো দেননি। তিনি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি পরিত্যাগের অপেক্ষায় আছেন।


ইরানের হুঁশিয়ারি: ইরান যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া ভাষায় সতর্ক করে বলেছে, যদি যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করে, তাহলে তেহরান কঠোর জবাব দেবে এবং মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোকে নিশানা করার কৌশলগত প্রস্তুতি শুরু করেছে।


জনমত এবং জোট: আমেরিকার নাগরিকরাও এই যুদ্ধে জড়ানোর বিরোধিতা করে হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভ করছে। রাশিয়াও যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বলেছে, ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ "ভয়াবহ সংঘাতের সূত্রপাত" ঘটাবে। চীন ও উত্তর কোরিয়াও ইরানের পাশে রয়েছে বলে জানা গেছে, অন্যদিকে ইসরায়েলের পাশে ভারত রয়েছে।

পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ এবং যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের সংঘাতের দিকে মোড় নিতে পারে।

Post a Comment

Human Verification

নবীনতর পূর্বতন