আসসালামু আলাইকুম
আসা করি সবাই ভালো আছেন।
গত পর্বে আমরা দেখেছি হিরন কনা কে এগনোর করছিল তো কি এমন হতে চলছিল তো চলুন দেখা যাক।
পরের দিন কনা হিরন কে ফোন দেয় তারপর।
কনাঃ হিরন কি করছো?
হিরনঃ এতো সকালে মানুষ কি করতে পারে?
কনাঃ হুম খাইছো জান?
হিরনঃ আরে আমি এখনো ঘুম থেকে উঠইনি পরে ফোন দাও এখন ঘুমা বো?।
কনাঃ আচ্ছা ২ মিনিট কথা বল প্লিজ!
হিরন তখন ফোন কেটে দিয়ে বন্ধ করে ফেললো তার মোবাইল ফোনটি।
তার ৪ ঘন্টা পরে হিরন ফোন খুলতে না খুলতেই কনার ফোন। হিরন কল টা রিসিভ করলো তারপর।
কনাঃ ওই তোমার মোবাইল বন্ধ ছিল কেন?
হিরনঃ এমনি ছিল তোমার সমেস্যা?
কনাঃ আজব তোমাকে ভালো কথা জিজ্ঞাস করলাম আর তুমি এমন ভাবে বলছ এই বলে কান্না শুরু করে দিল।
হিরনঃ কি কান্না শোনা নোর জন্য কল দিয়েছ?
কনাঃ হুম শুনতে মন না চাইলে কেটে দাও।
হিরনঃ কনার কল টা কেটে দিয়ে কনার নাম্বার টা ব্যালকলিষ্ট দিয়ে রেখে দিল ।
তার কিছুদিন পর কনা অন্য একটি নাম্বার দিয়ে ফোন করলো
কনাঃ হ্যালো হিরন?
হিরনঃ জ্বি কে বলছেন?
কনাঃ হয়তো খুব কাছের মানুষ ছিলাম! কিন্তু এখন আর নেই
হিরনঃ ও আচ্ছা কনা। শোন তুমি আর আমাকে কল দিবা না আমি কয়েক দিন একা থাকতে চাই বুঝতে পেরেছ।
কনাঃ ওকে তাই হবে, হুম একটা সময় খুব বলতা আমায় ছাড়া তুমি অসহায় কিন্তু দেখ সেই তুমিই এখন আমায় ছাড়া থাকতে চাও। আমার সব চেয়ে মূল্যবান জিনিস টা আমি তোমায় দিয়েছিলাম কিম্তু সেই তুমি আমার মূল্য বুঝলে না, আচ্ছা ঠিক আছে ভালো থেকো কয়েক দিন না সারা জীবন তুমি একা থেকো আল্লাহ্ হাফেজ।
হিরনঃ আচ্ছা তাই হবে
এই বলে ফোনটা কেটে দিল, তার কিছুদিন পর হিরন কনা কে ফোন দেয় কিন্তু কোন রেসপন্স পায় না।
অনেক যোগাযোগ করার চেষ্টা করে কিন্তু কোন প্রকার লাভ হয় না। কনার বাসার সামনে অনেক দিন যায় কিন্তু দেখা পায় না একটা সময় হিরন তার ভুলটা বুঝতে পারে আর আফসোস করে ইস্ কি ভুলটাই না করেছি।
ও দিকে কনা দিনের পর দিন কান্না করে কিন্তু হিরনের সাথে কথা বলে না হাজার কষ্ট হলেও বুক চাপা রাখে
এবং আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে গেল।
এরপর হিরনের জন্মদিনে আবার তারা এক হয়ে গেল এবং কিভাবে এক হয়ে গেল তা জানতে অপেক্ষা করুন পার্ট ৩ এ
খোদা হাফেজ ❤️❤️
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Human Verification